সরকারি খাতায় চালু স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাস্তবে গোয়াল ঘর

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
সরকারি খাতায় চালু স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাস্তবে গোয়াল ঘর

নিয়োগ নেই বেশিরভাগ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। যেখানে আছে সেখানেও যান না চিকিৎসকরা। কাগজে-কলমে বছরের পর পর পদায়ন থাকলেও চেনেন না ওই এলাকার মানুষ।

এভাবেই চলছে মহেশপুরের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। যে কারণে সেবা পাচ্ছে না প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো। গ্রাম থেকে সেবা নিতে ছুটতে হচ্ছে উপজেলা হাসপাতালে।

জানা যায়, চিকিৎসকসহ জনবল পদায়ন না হওয়ায় দেড়যুগের বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে গেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। খুলে পড়ছে ইট ও পলেস্তারা। চুরি হয়ে গেছে জানালা-দরজা। পরিণত হয়েছে জঙ্গল আর গোয়ালে।

অথচ সরকারি খাতাই এখনও চালু এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।

মান্দারবাড়িয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকার ইয়াসিন আলী বলেন, ‘আগে এখান থেকে ওষুধ পাওয়া যেত, ডাক্তারও থাকতো। কিন্তু এখন ডাক্তারও থাকে না, ওষুধ পাওয়া যায় না। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরগুলোতে মানুষ ছাগল-গরু রাখে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।’
একই এলাকার রহমত আলী বলেন, ‘বর্তমানে বিল্ডিংগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেলে। এগুলো মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করলে এই এলাকার লোকজন খুবই উপকৃত হবে।’

বিষয়টি স্বীকার করে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট থাকার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দেওয়া বিঘ্নিত হচ্ছে। চিকিৎসক নিয়োগ হলেই সমস্যার সমাধান হবে।’

ইএইচ