তালা উপজেলার সর্বত্র ভরা শীতের মৌসুমি বাজারে উঠেছে পর্যাপ্ত সবজি। কমেছে সকল শীতকালীন সবজির দাম। স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।
সবজির দাম কমলেও দাম কমেনি সকল নিত্যপণ্যের। বরং বেড়েছে চালসহ অনেক পণ্যের। নীরবে সিন্ডিকেট চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার। যার ফলে প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সকল নিত্যপণ্যের।
উপজেলা সদর, পাটকেলঘাটা, জাতপুরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ১০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, কুমড়া ২০ টাকা, আলু ৩০-৩৫ টাকা, মানকচু ৪০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, ওলকপি ৫ টাকা, পেঁয়াজের কালি ২০ টাকা, গাজর ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুসুরি ডাল ১৩০ টাকা, বুট ডাল ১০০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা, আদা ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন চায়না ২২০ টাকা, শুকনামরিচ ৪৬০ টাকা আদা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০-২১০ টাকা, সোনালি ২৬০ এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কম। আকারভেদে রুই ২৪০ থেকে ২৭০ টাকা, কাতল ২৪০ থেকে ৩২০টাকা, মৃগেল ২০০-২৫০টাকা, আকারভেদে পাঙাস ১৪০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ৯০-১৬০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০-১২০০ টাকা, গলদা ১৪০০-১৫০০ টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৩৮০ থেকে ৪০০টাকা, ভেটকি ৭০০-৮৫০ টাকা, টেংরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা রমেশ দাস বলেন, সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে। কিন্তু সকল নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরের বাজারের সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সরকারের নজরদারি করা উচিত, না হলে গরীব মানুষ না খেয়ে মরবে।
তালা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. মুনছুর আলী বলেন, বাজারে সবজির দাম কম দামে ক্রয় করলেও অন্যান্য পণ্যের দাম না কমায় তা কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন বলেন, কিছুদিন আগেও সবজির দাম চড়া ছিল। তবে বর্তমানে তা একেবারে কমে গেছে। তবে অন্যান্য নিত্য পণ্যর দাম না কমায় ক্রেতারা কিছুটা হতাশ হচ্ছেন।
ইএইচ