বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসায় ইউএনওর কাছে অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসায় ইউএনওর কাছে অভিযোগ

জামালপুর সদর উপজেলার হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মরিচের হাট বসানোকে কেন্দ্র করে সদর ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

সোমবার এ অভিযোগ দায়ের করছে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. বিপুল মিয়া।

বিদ্যালয় মাঠে মরিচের হাট বসায় চারটি ক্লাস করিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। এদিকে হাট ইজারা থেকে আসা আয়ের একটি অংশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ৭৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। চারটি পাকা ভবনের ১২টি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। শিক্ষক আছেন ১৫ জন।

সোমবারবার উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের এ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বেলা একটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। মাঠে বসেছে মরিচের হাট। চারদিকে ভিড় আর শোরগোল। শতাধিক মরিচের ক্রেতা-বিক্রেতা ব্যস্ত। পাইকারেরা মরিচ কিনে বস্তায় ভরে যানবাহনে তুলছেন। স্কুলের মূল ভবনের সামনেই একটি ট্রাকের মধ্যে মরিচ ওঠানো হচ্ছে। মাঠের কয়েকটি স্থানে বাঁশ পুঁতে মরিচের স্থায়ী দোকানও বসানো হয়েছে।

এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতি ও সোমবার ছাড়া সপ্তাহে পাঁচদিন হাট বসে। হাট বসার কারণে ওই পাঁচদিন বেলা একটার মধ্যে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে মরিচের ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন। বেলা দুইটার মধ্যে মাঠের চারপাশ ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরে যায়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কোলাহল।

কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, হাটের কারণে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা হচ্ছে না। এতদিন ধরে হাটটি চলছে। এটা বন্ধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

প্রধান শিক্ষক সাজেদুল হক বলেন, এই এলাকায় হাটের জন্য জায়গা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের দাবিতে হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়। হাট ইজারার কিছু টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে খরচ করা হয়।

বেলা ১টার মধ্যে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় রুটিনমাফিক ক্লাস নেয়া যাচ্ছে না। ফলে তাড়াতাড়ি বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি নাজমুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

জামালপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয় মাঠে হাটের বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামালপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ