কক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটং খালের ওপর তৈরি হচ্ছে মাটির বাঁধ। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো চাষ হবে প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে। এতোদিন টইটং খালের ওপর মাটির বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় চাষাবাদ অনিশ্চয়তা থাকায় স্থানীয় কৃষকের মাঝে হতাশা ও সংশয় দেখা দিয়েছিল। রাবারড্যাম অংশে কৃত্রিম মাটির বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকের মাঝে হাসি ফুটেছে।
শুক্রবার খালে মাটি ফেলে বাঁধ তৈরির কাজ উদ্বোধন করেন। ওইদিন দুপুরে পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাঁধ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। এসম বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, টইটং খালের ওপর নির্মিত রাবার ড্যামের রাবার গত দুবছর আগে ফুটো হয়ে যায়। ওই সময় থেকে রাবারড্যাম অংশে খালের ওপর মাটির কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করে চাষাবাদ করে আসছিল স্থানীয় কৃষকেরা। টইটং ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার জমির বোরো আবাদ নির্ভরশীল বাঁধের ওপর। বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় কৃষকের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি প্রবাহমান টইটং খালের ওপর একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করে। ২০১১ সালে টইটং সোনাইছড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. এর ওপর রাবার ড্যামের দায়িত্বভার ন্যস্ত করে সরকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়ার প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, মাটির বাঁধ তৈরির জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টইটং সোনাইছড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি কাজ বাস্তবায়ন করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে বাঁধ তৈরি কাজ শেষ হবে। কৃষক যথাসময়ে বোরো আবাদ শুরু করতে পারবে।
এ ব্যাপারে টইটং সোনাইছড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি.এর সভাপতি ডা. নুরুল কবির বলেন, আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বাঁধ নির্মাণের জন্য উপকরণ মজুদ করা হয়েছে। আগামি সপ্তাহ দশেক দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
আরএস