বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

তেলের অভাবে বন্ধ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
তেলের অভাবে বন্ধ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

জ্বালানি তেল সংকটের কারণে গত দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি। অকটেনের বকেয়া পরিশোধ না করায় এ সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দূরবর্তী কোনো হাসপাতালে নিতে পারছেন না রোগীর স্বজনরা। এদিকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গরিব ও দুস্থ রোগীদের।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সটির জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম খান ফিলিং স্টেশনে বকেয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা পাওনা থাকায় ১১ নভেম্বর থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হলে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা ভাড়া হারে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ৫০০ টাকা। তবে, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া দিতে হচ্ছে যথাক্রমে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, যা অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য বড় ধরনের আর্থিক চাপ তৈরি করছে। এ অবস্থায় মুমূর্ষু রোগীরা সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে অসহায় অবস্থায় পড়েছে।

রঘুনাথপুর গ্রামের কাজী বশির উদ্দিন বলেন, ‘বোনের শাশুড়ি অসুস্থ, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ডাক্তার। কিন্তু সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে নিতে গেলে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হবে।

অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. মহসিন বলেন, ‘প্রতিদিনই রোগীর স্বজনেরা ফোন করে, কিন্তু তেল না থাকায় চালাতে পারছি না।হাসপাতালে যোগদান করার পর দুই মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ। কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছি।’

মেসার্স এম খান ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বকেয়া পরিশোধ না করায় মালিকের নির্দেশে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’

বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমী আক্তার জানান, প্রায় ৭লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিল প্রোসেসিং করা হয়েছে। বিলটি পাস হলেই দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হবে বলে আশা করছি।

বিআরইউ