দীর্ঘ দুইশো বছর পর খনন করা হচ্ছে কক্সবাজারের পেকুয়ায় কহলখালী খাল। নানা আবর্জনায় খালটি ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। পেকুয়ার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজার (পেকুয়া বাজার) ঘেঁষে খালটির অবস্থান। পেকুয়া বাজারের পশ্চিম অংশে পাউবোর স্লুইচ গেট হয়ে পেকুয়া বাজার ঘেঁষে খালটি নুইন্যামুইন্যা ব্রিজে ফাঁড়ি খালে গিয়ে মিশেছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খালটির এক কিলোমিটারের কাছাকাছি অংশ ভরাট হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি পেকুয়া কহলখালী খালের খনন কাজ শুরু হয়েছে। দাতা সংস্থা (ডব্লিওএফও) অর্থায়নে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পেকুয়া বাজার জেনারেল হাসপাতাল থেকে উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স পর্যন্ত ১৮৫০ মিটার খাল খনন করা হচ্ছে। ৯ ফুট গভীরতা খালের খনন কাজে একশ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। প্রতিজন শ্রমিক পাঁচশত টাকা মজুরিতে পঞ্চাশ দিন খনন কাজ চালিয়ে যাবেন। এনজিও সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) কহলখালী খালের খননকাজ বাস্তবায়ন করছেন।
এ ব্যাপারে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার
(রিক) এর প্রকৌশলী হোসনে মুবারক আরমান বলেন,গত ১ জানুয়ারি থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে। দৈনিক একশ জন শ্রমিক কাজে নিয়োজিত আছে। কাজের উপকরণ হিসেবে বিনামূল্যে শ্রমিকদের পোশাক, হাত মৌজা, জুতা, ময়লা টানার হাতল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাজের সময় কোন শ্রমিক আহত হলে আহত শ্রমিকের প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কহলখালী খালটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রবাহমান খাল। ব্রিটিশ সরকার খালটি খনন করেছিল। এটির অবস্থান এক সময় পেকুয়া বাজার ঘেঁষে ফাঁড়ি খালে গিয়ে শেষ হয়েছে। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে খালটি পেকুয়া বাজারের মাঝামাঝি অংশে। খালের দু পাড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক বহুতল বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিংমল, একাধিক হাসপাতাল। এছাড়া থানা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে খালটির অবস্থান।
স্থানীয় আহমদ হোসেন, কবির আহমদ বলেন,একসময় কহলখালী খালে স্রোত ছিল। জোয়ারভাটা এ খাল দিয়ে নৌকা সাম্পান চলত। দীর্ঘদিন খনন না করায় এটি ময়লা আবর্জনায় ভরপুর ছিল। আশা করছি খনন করলে খালটি আগের গতি ফিরে পাবে।
আরএস