জামালপুরের মেলান্দহ থানায় তদন্ত ছাড়া মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগ মেলান্দহ থানার ওসির বিরুদ্ধে।সোমবার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলামের স্ত্রী আসমা আক্তার এমন অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন শিহাটা মৌজার বি আর এস ৪১৬ নং খতিয়ানে ও ৫২২ নং দাগে ১১.৫০ শতক জমিসহ অন্যান্য মৌজার ভূমি ইসমাইল হোসেন ও আমার স্বামী রবিউল ইসলাম গংরা ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমিতে বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে ওই এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান একই জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে। এর আগেও এই জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও প্রত্যেকবার আসাদুজ্জামান বৈঠক অমান্য করে। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আসাদুজ্জামান গংরা নিজেদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের মারধরসহ ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে সন্ত্রাসীর দল তাঁদের ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স যুগে তাদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, এই হামলার অভিযুক্ত আসাদ গংরা মেলান্দহ থানায় আমার স্বামী এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে আমাদের সকলকে পুলিশি হয়রানি করছে। কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলাটি এফআইআর করে মেলান্দহ থানার ওসি।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৃথক পৃথক ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দুই পক্ষের মামলাই দায়ের হয়েছে।
আরএস