মোরেলগঞ্জে সমলয় পদ্ধতিতে দেড়শ বিঘা জমিতে ধান চাষ শুরু

মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
মোরেলগঞ্জে সমলয় পদ্ধতিতে দেড়শ বিঘা জমিতে ধান চাষ শুরু

চলতি রবি মৌসুমে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দেড়শ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ১০২ জাতের ধানচাষ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, এস.এম ফেরদৌস ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কচুবুনিয়া গ্রামে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রায় ১৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দেবে। কৃষক সংকটের কারণে যন্ত্রনির্ভর এ পদ্ধতিতে কম খরচে অধীক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তদারকিতে মোরেলগঞ্জে প্রথমবারের মতো বিস্তারিত হচ্ছে সমলয় পদ্ধতি। শ্রমিক সংকটের কারণে এ পদ্ধতির চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। যথাসময়ে শ্রমিক বা কৃষক না পাওয়ায় অনেকের জমি পতিত থেকে যায়। এ সমস্যার কারণে পাশাপাশি থাকা জমির মালিকদের একত্রিত করে একই সময় জমি চাষ, প্লাস্টিক ট্রেতে বীজ তৈরি ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপণের কাজ করা হয়ে থাকে। ধান কাটার সময় হলে সবার জমির ধান একই সাথে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ভাড়া করে ধানকাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করানো হয়।

সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব মন্ডল বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) প্রায় ২৫ মন ধান উৎপাদন হবে। বীজতলা তেরি থেকে শুরু করে ১৫০ দিনে কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রতি একরে একজন কৃষকের খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার টাকা।

অপরদিকে সমলয় পদ্ধতিতে খরচ হচ্ছে ১০-১১ হাজার টাকা মাত্র। ভর্তুকির আওতায় থাকা দেড়শ’ বিঘা জমির জন্য এ বছর বিনামূল্যে ৩৬জন কৃষককে সাড়ে ৪ হাজার কেজি ইউরিয়া, ২ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি ও ২ হাজার কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে বলেও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জমির মালিকেরা শ্রমিকের অভাবে যথাসময়ে জমি চাষ করাতে পারেন না। ফসল উৎপাদনের তুলনায় খরচও বেশি পড়ে। এসব বিবেচনা করে ভর্তুকি দিয়ে সরকার পাশাপাশি থাকা সমতল জমির মালিকদের একত্রিত করে সমলয় পদ্ধতি চালু করেছে। কৃষকরা দলভুক্ত থাকলে ভবিষ্যতে সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই এ পদ্ধতিতে অর্ধেক খরচে তারা জমি চাষ করে লাভবাবন হতে পারবেন।

ইএইচ