যশোরে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষা উপকরণ দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

এম এ রহমান, যশোর প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
যশোরে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষা উপকরণ দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

যশোর শহরের চুড়িপট্টিতে অবস্থিত ১১৫নং মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলেয়া পারভীনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ও নতুন বছরে ভর্তি হতে আসা কোমলমতি শিশুদের অভিভাবকদের কাছ থেকে শিক্ষা উপকরণসহ নানা অযুহাতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার ফি বা টাকা নেয়ার বিধান না থাকলেও তার তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাতে প্রতিমাসে প্রায় ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন ওই শিক্ষিকা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে প্রধান শিক্ষিকার দিকে অভিযোগ করে বলেন, শ্রেণি ভেদে ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত টাকা আদায় করেছেন।

এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে স্কুলে গেলে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক হাফিজা বেগম, মরিয়ম খাতুন জানান, প্রধান শিক্ষিকা সরকারি বই সংগ্রহের যশোর শহরের বাইরে গেছেন। এ সময় তারা জানান অভিভাবকদের এরকম অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্য ১৫ টাকা হারে নেয়া হয়, এছাড়া অন্যকোনো প্রকার টাকা নেয়া হয়না।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০টাকা নেয়া হয়। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে টাকা নেয়া হয়।

তারা আরও জানান, ভর্তির সময়ে ভর্তি ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মিটিংয়ে থাকায় কথা বলতে পারেননি।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা. আব্দুল হান্নান বলেন, কোনো অবস্থাতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা যাবে না। যদি মোহনগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এরূপ অর্থ নিয়ে থাকেন তবে তিনি আইনগতভাবে অপরাধ করেছেন। আমরা দ্রুতই এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ইএইচ