গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রতিদিনই চলাচল করছে চিকন গাছের খুঁটি ও পাতলা কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি নড়বড়ে একটি সাঁকো দিয়ে। যেকোনো মুহূর্তে এই সাঁকো ভেঙে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
গত বছরের বন্যায় সাঘাটা উপজেলার উত্তর উল্যা এলাকার শ্মশানঘাটিতে প্রধান সড়কের দুইটি অংশ পানির স্রোতে ধসে যায়। চলাচলের সংকট নিরসনে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত যানবাহনের চাপ ও পথচারীদের পদচারণায় কাঠের পাটাতন আলগা হয়ে গেছে, আর নিচের খুঁটিগুলো নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়েই সাঁকোটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।শিশুদের জন্য সাঁকোটি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, বন্যা এলেই প্রতিবছর এ জায়গায় রাস্তা ভেঙে যায়। শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনেক ভয় হয়।
এলাকার মানুষের স্থায়ী সমাধানের জন্য দাবি উঠেছে একটি সেতু নির্মাণের। স্থানীয় ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক হোসেন মন্ডল বলেন, ওখানকার মানুষজন চরম ভোগান্তিতে আছে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ ইউএনও সাহেব সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও এলজিইডি কর্তৃপক্ষও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরএস