যা পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল (গাজীপুর) প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
যা পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়

রাজধানীর উপকণ্ঠ পূর্বাচলে আয়োজিত ২৯ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় দেশীয় পণ্যের স্টলের পাশাপাশি বিদেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা দর্শনার্থীরা।

এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। বাকি ১১টি স্টল ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া—এই ৭ দেশের।

এসব স্টলে দেশীয় পণ্যের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, জামদানি, মণিপুরি শাড়ি, রাজশাহী সিল্ক, চিনামাটির গয়না, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, পাটের সামগ্রী থেকে শুরু করে রূপচর্চার পণ্য—সবই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সরকারি প্যাভিলিয়ন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের স্টলগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর তাঁতে বোনা গামছা, লুঙ্গি ও রুমাল রয়েছে নুরুল টেক্সটাইলে।

বিদেশি পণ্যে গুলোর মধ্যে ভারতীয় স্টলগুলোতে কাশ্মীরি শাল, জয়পুরী বিছানার চাদর ও ভারী কাজ করা নাগরা জুতা ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। তুরস্কের আলোকবাতি ও কার্পেট, ইরানি জায়নামাজ, এবং অ্যাক্রিলিক ফাইবারের তৈজসপত্র দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের স্টলে রয়েছে স্টিলের বাসনকোসন।

শীতপোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্যের মধ্যে ছেলেদের জন্য শীতপোশাকের পাশাপাশি শিশুদের খেলনার স্টলগুলোতেও ভিড় কম নয়। নারী ক্রেতাদের জন্য গয়না, মেকআপ সামগ্রী, চুলের ক্লিপ ও বিভিন্ন ধরনের চাবির রিং রয়েছে। নামিদামি ব্র্যান্ডের সুগন্ধির রেপ্লিকা ও আতরের স্টলগুলোও ক্রেতাদের মনোযোগ কেড়েছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য,অ্যালুমিনিয়াম ও মেলামিনের থালাবাসন, ননস্টিক কুকার ও ওভেনের স্টলগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। কিছু স্টলে একটি পণ্য কিনলে বিনামূল্যে একাধিক পণ্য পাওয়ার অফার ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।

খাবারের স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে,আচার, পাঁপড়, চিপস, চানাচুরসহ এর মধ্যে শুকনা খাবারের স্টল বেশি চোখে পড়ছে। কোরিয়ান নুডলসের স্টলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের খাবারেও থাকছে বিশেষ ছাড়।

বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে বিআরটিসির শাটল বাস চালু রয়েছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ভাড়া ৩৫ টাকা, ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২০ টাকা এবং নরসিংদী থেকে ৯০ টাকায় মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছানো যাবে। বাসগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলাচল করছে।

মেলায় দেশি ও বিদেশি পণ্যের এই বৈচিত্র্য দেখে মনে হচ্ছে, মেলা শুধু কেনাকাটার স্থান নয়, এটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ব্যবসার এক মিলনমেলা।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারে মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিট কেনা যাবে।

আরএস