মঠবাড়িয়ায় বিকাশ’র ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা ম্যানেজার, মামলা দায়ের

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
মঠবাড়িয়ায় বিকাশ’র ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা ম্যানেজার, মামলা দায়ের

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটারের জমাকৃত ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন দায়িত্বরত ম্যানেজার মো. মিরাজ উদ্দিন (৫৫)। ফলে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও বামনা উপজেলার বিকাশ এজেন্টরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ব্যবসায় ঝুঁকিতে পড়েছেন। 

এ ঘটনায় উপজেলার বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর মো. বদরুল আহসান শামীম বাদী হয়ে ম্যানেজারসহ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ডিস্ট্রিবিউটার শামীম বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত ম্যানেজার মো. মিরাজ উদ্দিন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে।

থানা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের থানাপাড়া এলাকায় বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর এর কার্যালয়ে ফাইন্যান্স ম্যানেজার হিসেবে মিরাজ উদ্দিন ১৩ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিকাশ এজেন্টদের সকল টাকা লেনদেন করেন। দীর্ঘদিন ধরে বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটার শামীম তার কাছে হিসাব চাইলে সে সময়ক্ষেপণ করে আসছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে লেনদেন সংক্রন্ত হিসাব চাইলে মিরাজ দিতে ব্যর্থ হয়। পুবালি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, বেসিক  ব্যাংকের চেকের পাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করা ছিল। অধিকাংশ সময় সুপার ভাইজার, ডিএসও এবং অন্যান্য কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সময় টাকা উত্তোলন করতো মিরাজ।

পরবর্তীতে অফিসের ক্যাশে মাস্টার ওয়ালেটে তার কাছে থাকা ১কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও বামনা উপজেলার জন্য নিয়োগকৃত ২১জন ডিএসওদের কাজে লাগিয়ে তার নিজের পদ পদবি ব্যবহার করে তিন উপজেলার এজেন্টদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকাসহকারে অজ্ঞাতনামা লোকদের মাধ্যমে ওই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিরাজ কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায়।

বিকাশ মঠবাড়িয়া দপ্তরের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (পিএসও) সঞ্জয় হাওলাদার বলেন, ২১ জন সেলস অফিসার মাঠের এজেন্টদের নিকট হতে টাকা উত্তোলন করে ম্যানেজার এর নিকট জমা দিয়েছে। ম্যানেজার তার হিসাব ঠিকমতো না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে। এঘটনায় সেলস অফিসার ও এজেন্টরা বিপাকে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভান্ডরিয়া) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটর টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ম্যানেজার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরএস