তারুণ্যের উৎসব পরিণত হয়েছে মেলায়। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে চারদিক। সাংস্কৃতিক উৎসবের সাথে যোগ হয়েছে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিলুপ্তপ্রায় পিঠার প্রদর্শনী।
বলছিলাম মাদারীপুরের চরমুগরীয়ার মার্চেন্টস উচ্চবিদ্যালয়ের তারুণ্যের উৎসবের কথা।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে মাদারীপুর চরমুগরীয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারুণ্যের উৎসব। কনকনে শীতের মধ্যে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে এ উৎসব।
উৎসবে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হারিয়ে যাওয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শন। শিক্ষার্থীরা অবিভাবকদের সহযোগিতায় হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে এনে বিভিন্ন স্টলে প্রদর্শনসহ বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। এতে দর্শনার্থীরা এসে যেমন পিঠা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে তেমনি পিঠা কিনে খেয়ে পিঠার স্বাধ উপভোগ করতে পেরেছে। পিঠা প্রদর্শন, ক্রয় বিক্রয় সব মিলিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী অভিভাবক ও দর্শনার্থীরা।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের বিদ্যালয় মাঠে এমন একটি উৎসব করার জন্য আমাদের শিক্ষকরা যে উৎসাহ দিয়েছে তাতে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের উৎসাহে এমন একটি উৎসব করতে পারছি। তারুণ্যের উৎসবে আমরা আমাদের মা ও বোনদের সহযোগিতায় পিঠা বানিয়ে এনে স্টলে সাজিয়েছি। এগুলো আমরা বিক্রি করছি। দর্শনার্থীরা যে যার মতো পিঠা পছন্দ করে কিনে খাচ্ছে। কেউ কেউ আবার কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর এরকম উৎসবের আয়োজন করতে পারলে ভাল হতো।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনে আমরা খুব খুশি। পড়ালেখার পাশাপাশি সুস্থ ধারার আনন্দ আয়োজন ছেলে মেয়েদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীরা তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠানের সাথে পিঠার মেলার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পিঠার সাথে বর্তমান প্রজন্মের যে মিলল ওরা ঘটিয়েছে তার জন্য শিক্ষার্থীসহ তাদের যারা সহযোগিতা করেছে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
চরমুগরীয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মুর্শিদা আক্তার জানান, তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের হাত ধরে ফিরে আসবে দেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলো তারই একটি উদাহরণ চরমুগরীয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের এই তারুণ্যের উৎসব। প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা এভাবেই আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য গ্রামীণ খেলাসহ অন্যান্য বিষয় যোগ করে তারুণ্যের উৎসব পালন করবে এমনটাই আশা করি আমরা।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
