বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে আহত হন ফরিদপুরের সাজিদ মন্ডল। শহরের থানা রোড এলাকায় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড আর কাঁদানে গ্যাসের শিকার হন তিনি।
আত্মরক্ষার্থে পাশেই হিতৈষী স্কুলের দিকে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সামনে পড়েন এবং হামলার শিকার হন। এ সময় তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তার সারা শরীরে থেঁতলে যায়। ভেঙে যায় হাত-পা।
পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি এখনও দিন-রাত বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাটছে তার জীবন। টাকার অভাবে ভালোভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।
সাজিদ মন্ডল ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর মন্ডলের ছেলে। সাজিদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্র। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট।
রোববার দুপুরে সাজিদ মন্ডলকে দেখতে তার বাড়িতে ছুটে যান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার(এসপি) মো. আব্দুল জলিল।
এ সময় তার শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া তার ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন এসপি।
সাজিদ মন্ডলের বাবা জাহাঙ্গীর মন্ডল বলেন, সাজিদের ডান হাতের আঙুল, বাম হাতের মাঝ বরাবর ও ডান পায়ের গোড়ালির থেকে টাকনুর মাঝামাঝি ভেঙে গেছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচার করে রড ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন বাসায়। ৩/৪ মাস পর হাসপাতাল থেকে রডের স্ক্রু খুলতে যেতে হবে। এক বছর পর বড় একটি অপারেশন করতে হবে। কিন্তু আমি এই চিকিৎসার ব্যায় কিভাবে চালাবো।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, সাজিদের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। এখনো তারা কোনো মামলা করেনি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা বলা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সাজিদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পরবর্তীতেও খোঁজখবর রাখা হবে।
ইএইচ