সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্যের ঘাটতি, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ

ইয়ামিন হাসান, সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্যের ঘাটতি, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ

জনগণের তথ্য প্রাপ্তি ও সেবা নিশ্চিত করতে ২০১১-১২ অর্থবছরে সারা দেশের প্রায় ২৪ হাজার সরকারি অফিসের ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। এসব ওয়েবসাইটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করা।

কিন্তু গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের ওয়েবসাইট এখন নামমাত্র সচল অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে ও অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের ওয়েবসাইটে তথ্যের হালনাগাদ নেই। গুরুত্বপূর্ণ এলজিইডি অফিস, শিক্ষা অফিস, এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওয়েবসাইটগুলোতে তথ্য হালনাগাদের ব্যাপক অভাব রয়েছে।

এলজিইডি অফিসের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ নোটিশ আপডেট হয়েছে ২০১৭ সালে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের টেন্ডার কিংবা তথ্যের কোনো অস্তিত্ব সেখানে নেই। শুধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের নাম, মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।

একইভাবে, উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে নোটিশ বোর্ডে সর্বশেষ আপডেট ছিল ২০১৮ সালে। এমনকি উপজেলাজুড়ে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কিংবা শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্যও ওয়েবসাইটে দেখা যায়নি।

এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওয়েবসাইটেও আপডেট কোনো তথ্য দেখা যায়নি।

এ পরিস্থিতিতে তথ্য পেতে প্রায়ই অফিসগুলোতে সরাসরি যোগাযোগ করতে হয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ উপজেলার সচেতন নাগরিক খন্দকার জান্নাতুন নাহার বলেন, সরকারি ওয়েবসাইটে আপডেট তথ্য না থাকায়, আমাদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এর দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, অফিসের কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকলে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে দেরি হয়। ফলে অনেককেই দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়।

তারা আরও অভিযোগ করেন, কিছু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছেন, যার কারণে এসব ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে সাঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন কর্মকর্তা যোগদান করায় কিছু ওয়েবসাইটে তথ্য আপডেট হয়নি। আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ইএইচ