যশোরের অভয়নগর উপজেলার ২৬ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি/স্বাস্থ্যকর্মী) বেতন-ভাতা গত সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কবে পাবেন তারও নেই কোনো নিশ্চয়তা। বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে হতাশার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
এদিকে উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানাস্তরের জটিলতায় বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজিব।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি হিসেবে ২৬ জন কর্মরত আছেন। তারা অসহায় গরিবের চিকিৎসা, গর্ভবতী ও প্রসূতি, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, ইপিআই, কিশোর-কিশোরী ও নববিবাহিতদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদাহ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাত মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। ধারদেনা করে পরিবার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হচ্ছে। সমস্যা দুই দপ্তরের। তাহলে আমাদের বেতন-ভাতা দিতে সরকার কেন সমস্যা করছেন।
সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি অর্ধেন্দু বৈরাগী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিভাগের গাফিলতির কারণে গত সাত মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি, কারণ এই চাকরির ওপর নির্ভর করে আমার সংসার চলে। দ্রুত বেতন-ভাতা না দিলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে।’
এ ব্যাপার সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজিব বলেন, ‘কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশন প্লানের আওতায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) তাদের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। বর্তমান সরকার উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানাস্তরের চেষ্টা করছেন। তাদের বেতন-ভাতা রাজস্ব খাত থেকে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করা যায়, এই জটিলতার সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। কর্মরত ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা বুঝে পাবেন।
আরএস