যশোরের চৌগাছায় ভুল সিজার অপারেশনে মৃত্যু পথযাত্রী প্রসূতি মা জিম । চৌগাছা পল্লবী ক্লিনিকে কিৎসকের ভ‚লে সিজারের স্থান থেকে তার সেলাই খুলে সেখানে ইনফেকশন হয়ে রক্ত-পুঁজ বের হচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন ফুড়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব চৌগাছায় এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন জিম খাতুনের স্বজনরা। জিম খাতুন উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের আলামিন হোসেনের স্ত্রী ও খোসালপুর চাপাতলা গ্রামের মোবারক আলীর মেয়ে।
জিমের স্বামী আলামিন হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্ত্রী জিম খাতুনকে ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর সিজারের জন্য চৌগাছা পল্লবী ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে রাত ১১ টার দিকে ডাঃ সহি উদ্দীন তাকে সিজার অপারেসন করেন। ৪ দিন পর ১১ হাজার টাকা নিয়ে তাকে রিলিজ করে দেন। কিছু দিনপর সেলাই কাটতে এসে দেখেন সিজারের স্থানে ইনফেকশন হয়েছে। ইনফেকশনের সমস্যার কথা বললে পল্লবী ক্লিনিকের মালিক মিজানুর রহমান বলেন তার ফুঁড়া হয়েছে। ইনফেকশনের স্থানটি বারবার ড্রেসিং করলে ঠিক হয়ে যাবে। এদিকে রোগীর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। তার প্রসাবের রাস্তা দিয়ে পুঁজ ও সুতা বের হচ্ছে। ক্লিনিক মালিক মিজানুর রহমান বলছেন আবার ভর্তি হতে হবে। খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, পরে আমরা সেখান থেকে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে যায়। সেখানে কর্তব্যরত গাইনী চিকিৎসক প্রতিমা ঘরাই বলেন রোগীকে ভালো ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনা করে দেখতে হবে প্রকৃত বিষয়টি আসলে কি। আমরা রোগীকে যশোরে নিয়ে যায়। যশোর কুইন্স হাসপাতালে দেখালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বনি আমিন বলেন তাকে অপারেশন করা জরুরী। এতে খরচ হবে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।
জিম বলেন, ডাক্তার আমাদের দোষ দেন। তাহলে এখানে সিজার করানো প্রায় সবারই কেন ইনফেকশন হলো। সিজারের সময়ই প্রায় ২৫ হাজারের খরচ হয়েছে। ইনফেকশন হওয়ায় আবার অনেক ওষুধ খেতে হচ্ছে। কিন্তু এত টাকার সংস্থান করা তার দরিদ্র স্বামীর জন্য কঠিন। এক মাস ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
সম্মেলনে তারা দাবী তোলেন এ পল্লবী ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আরএস