নরসিংদীর রায়পুরায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাবি মিয়া (৪৫) নামে এক ট্রলার চালকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের মেঘনা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে করিমপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
নিহত হাবি মিয়া (৪৫) নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে এবং পেশায় একজন ট্রলার চালক ছিলেন। রাতে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার পোদ্দার।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নরসিংদী সদর থানায় হাবি মিয়ার নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই নায়েব আলী মিয়া।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় ট্রলার নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় হাবি মিয়া। ঐদিন তার ব্যবহৃত ট্রলারটি পাওয়া গেলেও তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ৫ দিন পর রোববার সন্ধ্যায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিলক্ষা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে তার লাশ ভেসে ওঠে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই নায়েব আলী মিয়া গণমাধ্যমে বলেন, "গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী দোসরা প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচার জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আমি আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছি। আমার সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধের ফলে আমার ভাইকে খুন করে থাকতে পারে। আমরা আশাবাদী পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে বিচার নিশ্চিত করবেন।"
করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার পোদ্দার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, "লাশের পায়ে রশি দিয়ে বাঁধা ছিলো, মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড মনে হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার হতে এখনও মামলা দায়ের করেনি। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরএস