টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ডাকাতির অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রীতি কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে রাতে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয় ফরিদ মিয়া।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনকে বিবাদী করে কালিহাতী আমলি আদালতে ৩০২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ফরিদ মিয়া সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের মৃত কদ্দুছ মিয়ার ছেলে।
পলাশতলী গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক, নাজিম উদ্দিন, মো. শাজাহান মিয়া, শুকুরী বেগম, আনোয়ারা বেগম, ছানোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, ডাকাতির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যাওয়া ফরিদ একজন পেশাদার চোর। চুরি ছিনতাই করাই তার পেশা। এলাকায় সে ছেঁছরা ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তার নামে সখিপুর থানায় একাধিক মারামারি, হত্যা, চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। দেশে চলমান রাজনীতির পট পরিবর্তন হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা কিছুটা অবনতি হলে সেই সুযোগটি কাজে লাগান ফরিদ।
নিহত ফরিদের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম জানান, তার ভাইয়ের সাথে পলাশতলী গ্রামের ড্রেজার ব্যবসায়ীদের সাথে বিরোধ চলছিলো। সেই আক্রোশে ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে কৌশলে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভুঁইয়া মুঠোফোনে জানান, মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ইএইচ