নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রশিদপুরে দেশীয় ফল চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন কৃষক মো. মাসুদ রানা।
বুধবার দুপুরে তার বড়ই, পেয়ারা ও মাল্টার বাগান পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ।
বাগান পরিদর্শন শেষে ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ বলেন, ‘বিএডিসি ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আজ মাসুদ রানা এই সফলতা অর্জন করেছেন। উপজেলায় শিক্ষিত বেকার তরুণরা এমন কাজে উদ্যোগী হলে তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গুরুদাসপুরকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করা সম্ভব।’
বিএডিসি ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইদুর রহমান জানান, ‘উপজেলায় মাসুদ রানাসহ আরও ১১ জন কৃষি খামারিকে সোলার ড্রাগোয়েনের সুবিধা প্রদান করেছি। তরুণরা আগ্রহী হলে পরামর্শ ও সহযোগিতার মাধ্যমে গুরুদাসপুরকে মডেল উপজেলায় রূপান্তর করা সম্ভব।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘শিক্ষকতার পাশাপাশি আমি ৩০ বিঘা জমিতে বড়ই, পেয়ারা ও মাল্টা চাষ করে গতবছর ৪০ লাখ টাকা লাভ করেছি। কৃষি অফিস এবং বিএডিসি অফিসের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।সৌর সাহায্যে সেচ দিতে পারছি। এটার ব্যবস্থা বিএডিসি করেছে। এ বছর আরও বড় পরিসরে করার জন্য ৬৫ বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, যত লাভ হবে, চাষাবাদ আরও বাড়াবো।’
উপজেলার কৃষি অফিসার হারুনুর রশীদ জানান, ‘গুরুদাসপুর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে ৪২টি বড়ই বাগান ৩০ হেক্টর জমিতে ৩৮টি পেয়ারা বাগান এবং ১২ হেক্টর জমিতে ড্রাগন বাগান রয়েছে।এছাড়াও এ উপজেলায় লিচু ও কলার বাগানে ভরপুর। এই অঞ্চলে ফলচাষে সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।’
উল্লেখ্য, মাসুদ রানার এই উদ্যোগ এবং ফসলচাষের সফলতা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। সরকারের সহযোগিতায় এমন চাষাবাদ উদ্যোগ আরও প্রসারিত হলে গুরুদাসপুর দেশীয় ফল চাষের ক্ষেত্রে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত হবে।
পরিদর্শন সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম আক্তার।
ইএইচ