শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে হিমাগারে পড়ে থাকা দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ অবশেষে সৎকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। দুই বছরের অধিক সময় ধরে পড়ে থাকা মরদেহ দুটির রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের গুনতে হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টাকা।
বুধবার সকালে পৌরসভার মনোহরবাজার শ্মশানঘাটে মরদেহ দুটি সৎকার করে কারা কর্তৃপক্ষ।
সৎকার করা দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন সতেন্দ্র কুমার ও বাবুল সিং।
এদের মধ্যে সতেন্দ্র কুমার হরিয়ানা রাজ্যের সাতুরা সুলতানপুর জেলার চেয়াপুর থানার চন্দ্রপালের ছেলে।
অন্যদিকে বাবুল সিংয়ের বাড়ির কোনো ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুপ্রবেশের দায়ে গেলো ২০২২ সালে ১৮ মে ভারতীয় নাগরিক বাবুল সিং ও ৮ অক্টোবর সত্যেন্দ্র কুমারকে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা থেকে আটকের পরে কারাগারে পাঠায় আদালত। ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি সত্যেন্দ্র কুমার ও ১৫ এপ্রিল মারা যান বাবুল সিং। এরপর থেকেই মরদেহ দুইটি সদর হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। পরে কুটনৈতিক আলোচনা সাপেক্ষে মরদেহ দুইটির সৎকারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) আসমা আক্তার পাপিয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ সৎকার করা হয়েছে। মরদেহ দুইটি দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিল। আমরা সৎকার শেষে বিষয়টি সসংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দিবো।
ইএইচ