যশোরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মধ্যরাতে আ.লীগ কর্মী জখম

যশোর ব্যুরো: প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
যশোরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মধ্যরাতে আ.লীগ কর্মী জখম

যশোরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মধ্যরাতে মোহাম্মদ হানিফ (৪৯) নামে এক আ.লীগ কর্মী জখম হয়েছেন। এসময় তিনি মদ্যপান অবস্থায় ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল নিজ গাড়িতে করে হানিফকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনেন ।

সাবেক চেয়ারম্যান টুটুল জানান,বুধবার দিনগত গভীর রাত তিনটার দিকে যশোর নড়াইল সড়কের বিজলী পেট্রোল পাম্পের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন হানিফকে। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগ থেকে ওষুধ কেনার কথা বলে চেয়ারম্যান টুটুল পালিয়ে যান।যা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে, হাসপাতালেই মাতলামি শুরু করেন গুলিবিদ্ধ হানিফ। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন। কোথায় ও কারা গুলি করেছে তা হানিফকে জিজ্ঞাসা করলে একেক সময় একেক রকম তথ্য দেন তিনি।  এ সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভোর চারটার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসক। হানিফ লোন অফিসপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে। ফতেপুরের দাইতলা গ্রামে  জমি কিনে হানিফ বসবাস করতেন।

এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাইফুর রহমান বলেন, হানিফকে যখন আনা হয় তখন তিনি ঘোরের মধ্যে ছিলেন। তার পেটের ডানপাশে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে হানিফ মধ্যপ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছেলেন। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানান।

এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, হানিফ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হানিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। এছাড়া তিনি বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাজমুল ইসলাম কাজলের ভাই জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুলের সহযোগী।

বুধবার মধ্যরাতে নিজ গাড়িতে করেই টুটুল হানিফকে নিয়ে হাসপাতলে আসেন। কিন্তু পরে পালিয়ে যান। এর নেপথ্যে অন্য কোনো রহস্য আছে বলে সূত্রটি দাবি করেন।

বিআরইউ