আড়াইহাজারে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
আড়াইহাজারে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গত দুই দিনে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

এ সমস্ত আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনে পুলিশকে তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে দেখা যায় না। পুলিশ দায়সারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশগুলো মর্গে পাঠিয়ে দেয়। পরে আর এর খোঁজ খবর কেউ রাখে না। ফলে আত্মহত্যার কারণগুলো উদঘাটিত হয় না।

পরিবারের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে তেমন কোন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে দেখা যায় না। গত তিন দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় তিন গৃহবধূর আত্মহত্যার মধ্যদিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলা ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ছোট ফাউসা এলাকায় মাফিয়া বেগম (৬০) নামে এক মহিলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। সে ওই গ্রামের মৃত ছমির ও সালাম বেগম দম্পতির মেয়ে।

এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার একই ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকা থেকে একই দিনে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ।

এদের মধ্যে এক সন্তানের জননী প্রেয়সী (২১) ওই গ্রামের ফয়সালের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মোখলেসের কন্যা।

অপরদিকে একই দিন বিকালে একই গ্রাম থেকে পুলিশ আনিকা (২০) নামে আরও এক গৃহবধূর লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে ঘরের আঁড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস  লাগানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। নিহত আনিকা ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। কিন্তু আত্মহত্যার কারণ ও রহস্য উদঘাটনের ব্যাপারে পুলিশ এবং নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে পরে আর কোন তদবির ও চেষ্টা করতে দেখা যায় না।

আত্মহত্যাগুলোর প্রকৃত কারণ উদঘাটন না হওয়ায় মানুষ অত্মহত্যার দিকে বেশি করে ঝুঁকছে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

আড়াইহাজর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, স্বজনদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে  লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক ৩টি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে আত্মহত্যার কারণ গুলো নির্ণয় করা যাবে।

ইএইচ