মাদারীপুরে উৎসবমুখর পরিবেশ ও কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি পদে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিতি এমদাদুল হক খান নির্বাচনে সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন শাকিল সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদে আওয়ামীপন্থিরা নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বিএনপির জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে, এমদাদুল হক খান ১৮২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া পেয়েছেন ১০৫ ভোট। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থি কোন আইনজীবী সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন শাকিল ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রদীপ চন্দ্র সরকার ৪৯ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি ১ পদে আনোয়ার হোসেন আরমিন ও জালালুর রহমান উভয়ই পেয়েছেন ১৩০ ভোট। দুজনের ভোট সমান হওয়ায় এই পদের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সহ-সভাপতি ২ পদে মাহবুব হাসান সরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে শাকিলা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মো. মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজন ভৌমিক, আপ্যায়ন ও বিনোদন সম্পাদক পদে বদরুন নাহার কলি (বিনা প্রতিন্দন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন), লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মুনির হাসান মিঠু, মুহুরি সম্পাদক পদে এ কে এম আজিজুল হক মুকুল ও সাধারণ সদস্য পদে ৫ বিজয়ীর মধ্যে সৈয়দা তাহমিনা খানম তুলি, মো. এনামুল হক, আব্দুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও মো. আবু সুফিয়ান নির্বাচিত হয়েছেন।
মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ একটানা চলে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ভোটারের সংখ্যা ৩০০ হলেও ভোট পড়ে ২৯৩টি। বাকি ৭ ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। কড়া নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই এমন সুন্দর নির্বাচন উপহার পেয়ে খুশি প্রার্থীরা। তাদের কারোই ছিল না কোন ধরনের অভিযোগ।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, সকাল থেকেই মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে সারাদিনের নির্বাচনে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
ইএইচ