বরিশালে টিসিবি’র স্মার্টকার্ড নিয়ে ‘তালবাহানা’র প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
বরিশালে টিসিবি’র স্মার্টকার্ড নিয়ে ‘তালবাহানা’র প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরিশালে টিসিবি’র স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে তালবাহানা ও ন্যায্যমূল্যের পণ্য থেকে সাধারণ নাগরিকদের বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশাল নগরীর ২ নং ওয়ার্ডের মানিক মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, জানুয়ারি মাসে আমরা নতুন টিসিবি ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ডের জন্য টিসিবি পণ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি। টিসিবির কার্ড নিয়ে সাবেক সরকার আমলে স্বজনপ্রীতি হয়েছে। তাই মৃত্যু ব্যক্তি স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রকাশিত নামের তালিকা বাতিল করে অবিলম্বে প্রকৃত ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যদের নামে টিসিবি ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ডের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার প্রতিবাদে আজকের আমরা রাস্তায় নেমেছি।

তারা আরো বলেন, এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানাতে চাই যে প্রকৃত পরিবারের সদস্যদের মাঝে টিসিবি ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ড বিতরণ না করা পর্যন্ত কাউনিয়া ২ নং ওয়ার্ডে কোন ব্যক্তি টিসিবি’র পণ্য নিতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে যাবো। যার কারণে এই নতুন কার্ড না পেলে টিসিবি পণ্য থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এতে আমাদের সংসারের খরচ বেড়ে যাবে। তাই যে পর্যন্ত নতুন কার্ড আমরা হাতে না পাবো সে পর্যন্ত পুরাতন কার্ড দিয়ে সুবিধা দিতে হবে।

এখন থেকে এই কার্ড দিয়েই পণ্য নিতে হবে। পুরোনো কার্ড দিয়ে পণ্য নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পর্যায়ক্রমে সবাই এই কার্ড পাবেন।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শতদল মন্ডল সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তালিকায় ভুক্ত করা এবং বাদ দেওয়ার দায়িত্ব এটা টিসিবি কর্তৃপক্ষের নয়। এটা দেখার দায়িত্ব হলো সিটি কর্পোরেশনের। সিটি কর্পোরেশন থেকে আমাদের প্রধান কার্যালয়ে যে তথ্য পাঠানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে শূন্য স্থান গুলো রয়েছে সেগুলোতে কার্ড দেওয়ার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। আশা করি এই সমস্যা গুলো তারাই সমাধান করবেন।  

নগরীর ২নং ওয়ার্ডের টিসিবি’র ফ্যামিলি স্মার্টকার্ডের তালিকা করায় অনিয়ম হয়েছে। তাই তালিকা বাতিল করে অবিলম্বে প্রকৃত ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যদের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এবিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, সাবেক মেয়র থাকাকালীন সময়ে ৯০ হাজার টিসিবি’র কার্ড দেওয়া হয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন, টিসিবির পণ্য কেনার জন্য একটি পরিবারকে এত দিন একটি সাধারণ কাগজে কার্ড দেওয়া হতো। পুরোনো এই কার্ড গুলো বর্তমান সরকার বাতিল করে এখন স্মার্ট কার্ডের পণ্য বিতরণ শুরু করেছে। তাই আমরা প্রথম ধাপে ৩১ হাজার কার্ড পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, যদি কোনো অসহায় পরিবার টিসিবির স্মার্টকার্ডের তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। তাহলে নতুন কার্ড আসলে তারাও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।

বিআরইউ