অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে অভিযান, ফসলি জমির মাটি বিক্রিতে জরিমানা

আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে অভিযান, ফসলি জমির মাটি বিক্রিতে জরিমানা

নওগাঁর ধামইরহাটে সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে বাড়িঘর নির্মাণের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ফসলি জমির টপসয়েল বিক্রির দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার হরিতকীডাঙ্গা মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

জানা গেছে, ধামইরহাট ইউনিয়নের হরিতকীডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. আলীর ছেলে মুকতার হোসেন মহব্বতপুর মৌজার ১০১ নং দাগের সরকারি খাস খতিয়ানের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তিনি কর্ণপাত না করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যান।

পরে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ প্রদান করে। পাশাপাশি এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ারকে অভিযুক্ত দখলদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অপরদিকে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় উপজেলার তেলীপাড়া এলাকায় ফসলি জমির উর্বর টপসয়েল বিক্রির অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযুক্ত রানীনগর উপজেলার গহেলপুর গ্রামের নাসির আকন্দের ছেলে মিজানুর রহমান (২৭) বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ১৫(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হন।

এ সময় তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে না জড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারি খাস জমি দখল কিংবা ফসলি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করে কৃষি জমির ক্ষতি করা গুরুতর অপরাধ। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ধামইরহাটে সরকারি জমি দখল ও ফসলি জমির টপসয়েল বিক্রির বিরুদ্ধে প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থান স্থানীয়দের মধ্যে সন্তোষ ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে।

বিআরইউ