জলঢাকায় কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
জলঢাকায় কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

নীলফামারীর জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ শহিদ মিনার চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সদস্য নাহিদ ইসলাম বলেন, তোফায়েল আহম্মেদ বিগত ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে ইতিপূর্বে কাজ করে আসছিলেন। বর্তমানেও তিনি জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা তার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।

কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ শাকিল আহম্মেদ বলেন, তোফায়েল আহম্মেদ প্রামানিক স্যার আগে থেকেই কলেজে নিয়মিত আসতেন না, এক কথায় অনেক শিক্ষার্থী তাকে ঠিকমতো চিনেন না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তিনি কলেজে নিয়মিত না এসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছিলেন। আর এখন তিনি আমাদের অধ্যক্ষসহ কলেজটি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।

এ সময় ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতিহত করতে আগামীতে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহম্মেদ প্রামানিক বলেন, যেদিন সেলিমুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সেদিন আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।

কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন সাধারণ শিক্ষক, আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

জানতে চাইলে জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিমুর রহমান বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ অবসরে যাওয়ার সময় নিয়ম মেনেই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং কলেজের সকল শিক্ষক রেজুলেশনের মাধ্যমে তা সমর্থন করেছেন। একটি মহল আমাকে সরানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করছেন।

ইএইচ