কলেজ ফাঁকি দিয়ে বনভোজনে গেলেন অধ্যক্ষসহ ৬ শিক্ষক-কর্মচারী

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
কলেজ ফাঁকি দিয়ে বনভোজনে গেলেন অধ্যক্ষসহ ৬ শিক্ষক-কর্মচারী

বগুড়ার সোনাতলায় কলেজ ফাঁকি দিয়ে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বনভোজনে গেলেন অধ্যক্ষসহ ৬ শিক্ষক-কর্মচারী।

বৃহস্পতিবার উপজেলার হরিখালি টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও কলেজটির অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলাম, ইংরেজি প্রভাষক মোছা. খালেদা আফরিন, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. এনামুল হক, কম্পিউটার ডেমোনেষ্ট্রেটর আব্দুল ওয়াহাবসহ গ্রন্থাগার মো. আনারুল ইসলাম ও অফিস সহকারী মো. সাজেদুর রহমান জুয়েল ৬ জনকে দেখা যায়নি।

জানা যায়, সোনাতলার হরিখালি টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। কলেজটির অফিস সহকারী (এমপিওভুক্ত) সাজেদুর রহমান জুয়েল ওই কলেজের সাথেই হরিখালি প্রিপারেটরি নামে একটি কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ওই স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই কেজি স্কুলের বার্ষিক বনভোজন কলেজের অধ্যক্ষসহ ৬ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ওই বনভোজনে অংশগ্রহণ করে রংপুরের ভিন্নজগতে যায়।

বিষয়টি নিয়ে হরিখালী এলাকায় সচেতন মহলের মাঝে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

বনভোজনে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, তারা কলেজের অধ্যক্ষের নিকট থেকে মৌখিক ছুটি নিয়ে বনভোজনে এসেছেন।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিককে মৌখিকভাবে জানিয়ে বনভোজনে অংশগ্রহণ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক জানান, ওই কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই ৬ ফেব্রুয়ারি ছুটি নেয়নি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হবে।

ইএইচ