ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যার দায়ে প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যার দায়ে প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামী হেলাল উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী ও প্রেমিককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পরকীয়া প্রেমিক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা গ্রামের আ. আজিজের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৪৯) এবং নিহতের স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৪০)। এর মধ্যে হাফিজা খাতুনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা হলেও এখনো পলাতক অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। আর তৃতীয় আসামি আরমান মারা যাওয়ায় আগেই আদালত তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শামীম উল আজম খান লিসন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিরা অভিযুক্ত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম রাজীব মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করে জানান, ২৩ বছর আগে দণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজা খাতুনের সঙ্গে মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়েসন্তান রয়েছে। এরই মাঝে হেলাল উদ্দিন জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চলে গেলে হাফিজা খাতুন ডেসটিনিতে যোগ দিয়ে দণ্ডিত অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুদের অধীনে কাজ শুরু করেন। এতে মাসুমের সঙ্গে হাফিজার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠলে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাসে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন মাসুম। এরপর হেলাল উদ্দিন প্রবাস থেকে ফিরে এলে আসামিরা হেলাল উদ্দিনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করে ডাকাত খুন করেছে বলে প্রচার করেন।

আরএস