সাভারের আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়ার ডেন্ডাবরের কাঠালবাগান, জামগড়া কাঠালতলা, আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকা থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহতরা হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার বড়ইতলা গ্রামের মোস্তফার ছেলে মো. শাওন ও একই জেলার পাথরঘাটা থানার জমাদ্দার বাড়ি গ্রামের শাহ-আলম মাতব্বরের মেয়ে হাফিজা।
তারা দুইজনই পোশাক শ্রমিক ও স্বামী স্ত্রী বলে জানা গেছে।
এছাড়া পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার ফজলু মিয়ার মেয়ে, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার কুমারপাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়ার ছেলে হৃদয় ও আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকার রেডিয়ান্স জিন্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মোস্তফা।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান এলাকার সুবেদার (অব.) মকবুলের বাড়ি থেকে ফারজানা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া কাঠালতলা এলাকার আফাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে স্বামী শাওন ও স্ত্রী হাফিজার লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা দুই জন একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
তবে কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও জানা যায় নি। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকার শাহ-আলমের বাড়ি থেকে হৃদয় নামের এক যুবকের লাম উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। ভোরে স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ঘর থেকে বের করে দেন। পরে নিজে গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এছাড়া দুপুরে আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকার রেডিয়ান্স জিন্স লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার ভিতরে গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেন মোস্তফা নামের এক শ্রমিক। তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমন সন্দেহে কারখানার সকল শ্রমিক বিক্ষোভ করেছেন। এ ঘটনায় বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, সোমবার বিকাল থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত দুই নারীসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের সবাই গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। সাধারণত পারিবারিক কলহের জেরে এসব আত্মহননের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।
ইএইচ