তিস্তা অঞ্চলে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক, প্রস্তুতি সম্পন্ন

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
তিস্তা অঞ্চলে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক, প্রস্তুতি সম্পন্ন

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকাসহ তিস্তার তীরবর্তী ১১টি পয়েন্টে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ২ দিনব্যাপী তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। কর্মসূচির সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে কয়েকদিন ধরে চলছে সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, পদযাত্রা, মাইকিং, ব্যানার ও ফেস্টুনসহ নানা ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম।

বর্ষা মৌসুমে বন্যা, নদী ভাঙন আর শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় তিস্তা নদীর প্রায় ১১৫ কিলোমিটার এখন ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একতরফা নদী শাসননীতির কবলে পড়ে বসন্তেই যৌবন হারিয়ে মরতে বসেছে এক কালের প্রমত্তা তিস্তা নদী। তিস্তা নদীর পাড়ে এখন নেই মাঝিমাল্লা বা জেলেদের হাঁকডাক। প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ। তিস্তা নদীর মূল গতিপথ এখন বালুর স্তূপে পরিণত হয়েছে।

ভরা বর্ষা মৌসুমে তিস্তা সেচ প্রকল্পের তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় খুলে দেওয়া হয় সবকটি জলকপাট। এতে ব্যারাজের আশপাশের বাসিন্দাসহ ভাটিতে থাকা লাখ লাখ সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে পানিবন্দি। নদী ভাঙনে বসতভিটাসহ সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয় তিস্তা নদী পাড়ের মানুষ। আশ্রয় নেয় বাঁধের ধারে বা অন্যের জমিতে। আবার শুকনো মৌসুমে সেই প্রমত্তা তিস্তা নদী পরিণত হয় ধু-ধু বালুচরে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে একতরফা তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণ করায় প্রতিবছর বর্ষা শেষ হতে না হতেই বাংলাদেশ অংশ পরিণত হয় মরা খালে। ৩শ ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের প্রায় ১শ ১৫ কিলোমিটার এখন মরুভূমি। দিন দিন প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পটি।

তাই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ২ দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচির বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শনসহ বক্তব্য প্রদান করবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারেক রহমানও বক্তব্য প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।

ইএইচ