মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত চাইলে আগে তিস্তার পানি দেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করেন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত চাইলে আগে তিস্তার পানি দেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করেন

শুরু হয়েছে লড়াই,আমাদের গণতন্ত্রের লড়াই,আমাদের বাঁচা মরার লড়াই। লড়াইয়ের মাধ্যমে আমাদের অধিকারগুলো আদায় করে নেই। একদিকে পানি দেইনা অন্যদিকে আমাদের শত্রুকে জায়গায় দিয়েছে। ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ বিক্রি করে একফোঁটায় পানিও আনে নাই। যদি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত করতে চান আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্তে গুলি করে হত্যা বন্ধ করেন। বড়দাদার মত আচরণ বন্ধ করেন।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন সংগঠনের লাগাতার দুদিনের কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় আসলো সবাই ভাবলো আওয়ামী লীগের বন্ধু ভারত এবার তিস্তার পানি সবাই পাবে কিন্তু লবডঙ্কা।

তিনি বলেন,শুধু তিস্তা নয় ভাই ৫৪টি নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে, সবগুলো নদীর উজানে বাঁধ দিয়েছে।বাঁধ দিয়ে পানি তুলে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আর আমাদের দেশের মানুষ এখানে ফসল ফলাতে নাপেরে জীবন জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়,জেলেরা মাছ ধরতে পারেনা।জাগো বাহে কোনটে সবাই দুলু ভাই ডাক দিয়েছে চলা সবাই তিস্তা বাঁচাই। 

তিনি আরও বলেন, এই যে আন্দোলন শুরু হলো এই আন্দোলন আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব।মজলুম জননেতা মওলানা হামিদ খান ভাসানী একদিন ফারাক্কা লং মার্চ করেছিলেন গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার জন্যে,ঠিকই একইভাবে দাঁড়িয়ে গোটা তিস্তার এগারো পয়েন্টে হাজার হাজার মানুষ জড়ো করে ডাক দিয়েছেন জাগো বাহে কোনটে সবাই চলো তিস্তা নদী বাঁচাই।আজকের এ সংগ্রাম বাঁচা মরার সংগ্রাম, এ সংগ্রাম বন্ধ হতে দিব না।

ফখরুল বলেন,আজকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই কথায় বলেন আপনারা নিরপেক্ষ, এই জায়গায় আপনাদেরকে মুখ খুলতে হবে ভারতকে আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যার পানি চাই। আপনি যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেহেতু দ্রুত নির্বাচন দিয়েজনগণের ভোটে নির্বাচিত  জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

আরএস