লক্ষ্মীপুরে আমীর খসরু

সংস্কারের নাম করে নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা চলবে না

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
সংস্কারের নাম করে নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা চলবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, "সংস্কারের নাম করে নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা চলবে না। আপনাদেরকে জনগণ সেই ক্ষমতা দেয়নি। বিএনপি সেটি মেনে নেবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়। জনগণ আপনাদের ম্যান্ডেট দেয়নি। এ ব্যাপারে কোনো ঐক্যমত হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা সংসদে যাবেন, তারাই সংস্কার করবেন। তাই সংস্কারের নাম করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে বানচাল করলে জনগণ মেনে নেবে না।"

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির এক বিশাল গণসমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, "এই সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।"

তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জুলাই বিপ্লবের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বিএনপি বদ্ধপরিকর। তা হলে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার তাড়িয়ে জনগণের কী লাভ হয়েছে?"

তিনি আরো বলেন, "এ সরকার ক্ষমতার লোভে চেপে বসেছে।" প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতার সমালোচনা করে তিনি বক্তব্য দেন।

লক্ষ্মীপুর আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে সমবেত হন। এ সময় আউটার স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে যায়।

ইএইচ