সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ১১:১৯ এএম
সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার

নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত হওয়ার মামলার ঘটনায় জড়িত সন্দিগ্ধ ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানার পুলিশ। তারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মী। আজ তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন স্হানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে গাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ (৪৩)শম্ভুপুরা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য সে সম্ভুপুরা ইউনিয়নের কাজিরগাও গামের গাজী আক্কাসআলীর ছেলে আওয়ামিলীগ কর্মী  আসাদুজ্জামান বিপ্লব একই উপজেলার কাচপুর ইউনিয়ন ললাটি গ্রামের বদরুজ্জামানে ছেলে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ইং ১৯ জুলাই সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পন্ড করার জন্য এজাহার নামীয় ০১ হইতে ১৫নং আসামিদের নির্দেশে ছাত্র জনতাকে উদ্দেশ্য করিয়া আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, লাঠিসোঠা, ইট পাটকেল, রামদা, ইত্যাদি সজ্জিত হইয়া উপরিউক্ত আসামিদ্বয় সহ এজাহার নামীয় অপরাপর আসামি এবং অজ্ঞাতনামা ২০০/২২০ জন আসামি সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর সাকিনস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালে পাকা রাস্তার উপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিয়া জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে এবং তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর আরম্ভ করেন। যাহার ফলে ১৯ জুলাই বিকাল অনুমান সারে ঘটিকার সময় একটি গুলি বাদীর মাথার বাম কপালে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাদী মাটিতে লুটাইয়া পড়িয়া ডাক-চিৎকার করেন। বাদীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের ছাত্র-জনতা আসিয়া বাদীকে উদ্ধার করিয়া মদনপুর আলবারাকা হাসপাতালে নিয়া যান। আলবারাকা হাসপাতাল হইতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করিয়া তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকায় রেফার্ড করিলে বাদীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাদীর মাথায় গুলি লাগা স্থানে অপারেশন করা হয়।

সোনারগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী জানান, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে  গতকাল তাদের গ্রেপ্তারের পর  এ  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

বিআরইউ