বাজিতপুরে সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ

খসরু মিয়া, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
বাজিতপুরে সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়ন। অবহেলিত ও উন্নয়নবঞ্চিত একটি জনপদ হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলটি।

কালের সাক্ষ্য বহনকারী মেঘনা ও ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী মাইজচর এলাকায় এক সময় বড় বড় নৌজাহাজ ঢাকা, কলকাতা এবং রেংগুনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করত। প্রায় ২২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মাইজচর ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় বিশ হাজার। ১০টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই ইউনিয়নটি দিলালপুর ইউনিয়নের দিলালপুর বাজার ঘাট এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে পারাপার হয়ে মাইজচরে যেতে হয় স্থানীয়দের।

নদীটি পার করতে মাত্র দুই মিনিট সময় লাগে, কিন্তু নৌকায় ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
এটি একটি বড় সমস্যা, কেন না ছোট্ট একটি সেতু নির্মাণ করা হলে দিলালপুর হয়ে উপজেলা সদরের সাথে শুষ্ক মৌসুমে সিএনজি, অটো বা অন্যান্য যানবাহন দিয়ে সহজে যাতায়াত করা সম্ভব। কৃষি পণ্যসহ সব ক্ষেত্রে যোগাযোগের উন্নয়নে একটি মাইলফলক হতে পারতো এই জনপদটি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নৌকা দিয়ে পার হতে গেলে ২ মিনিটের রাস্তা ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নেয় নৌকা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। মোটরসাইকেল নিয়ে পার হলে অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুণতে হয়। প্রতিদিন এই সিন্ডিকেট হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

আক্ষেপ করে এক বাসিন্দা বলেন, "অনেক জায়গায় রাস্তা নেই, অথচ সেতু নির্মাণ করে সরকারি টাকা লুটপাট করেছে জনপ্রতিনিধি ও অসাধু ব্যক্তিরা। আর এখানে ছোট্ট একটি সেতু হলেই এ এলাকার লোকজন স্থলের সাথে সংযুক্ত হতে পারতো।"

এ বিষয়ে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজীর সাথে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক।

তবে, মৌখিকভাবে দায়িত্ব পালনকারী প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আলী আকবর জানান, "দিলালপুর হয়ে মাইজচরে যেতে হলে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়, যা দীর্ঘদিনের সমস্যা। একটি সেতু নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।"

ইএইচ