কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ এবং নিঃশর্তে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল ১০টায় কলেজের বিজ্ঞান ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
কলেজ প্রশাসন বলছে, কে বা কারা এই জঘন্য ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের খোঁজা হচ্ছে। সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক রাজনীতির হীন চক্রান্তে একটি কুচক্রী মহল পুলিশের সাথে যোগসাজশে মামলাবাজির ব্যবসা করতেই এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে। এতে আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে শিক্ষা মনোরম পরিবেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত রয়েছে। অবিলম্বে ষড়যন্ত্র ও হয়রানি মূলক মামলার এজাহার নামীয় ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মামলার নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে। নচেৎ এই ঘটনার প্রতিবাদ এবং দাবি আদায়ের জন্য লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জেরিনের অভিযোগ, "কোথাকার কোন হোটেল বয় এই মামলার বাদী, যার সাথে আমাদের বা আমাদের স্যারদের কোন পরিচয় বা চেনাজানা নাই, অথচ তাকে কীভাবে স্যাররা হত্যার হুকুম দিলো? মামলার এজাহার দেখলেই বোঝা যায় যে এটা একটা হাস্যকর মামলা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্যারদের সম্মানহানি ও হয়রানির জন্যই এই মামলা করানো হয়েছে।"
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোল্লা মো. রুহুল আমীন বলেন, "মামলাটির মোটিভ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে একটি মহলের প্রত্যক্ষ ইন্দন রয়েছে। একটি কু-চক্রী মহলের হীন স্বার্থে এই নিন্দনীয় কাজটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাণ্ডজ্ঞানহীন অদূরদর্শীতার কারণে হয়েছে। কলেজের ভাবমূর্তি ও শিক্ষা মনোরম পরিবেশ রক্ষা স্বার্থে এর একটা সুরাহার দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। একই সাথে এজাতীয় নিন্দনীয় কাজে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।"
মামলাটি দায়েরের বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত জানিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, "যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে কগনিজেবল অভিযোগ নিয়ে আসলে মামলা হতে পারে। আমরা তদন্ত করে দেখবো ঘটনার সত্যতা আছে কি না। সত্যতা না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে না।"
ইএইচ