বরিশালে কিশোরী গৃহকর্মীকে অপহরণ ও পাচার মামলায় এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ওই পুলিশ সদস্য।
পরে শুনানি শেষে বিচারক মো. সোহেল আহমেদ জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।
জেলে যাওয়া কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন খান বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মধ্য পাংশা এলাকার বাসিন্দা।
তিনি রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন বলেন, আনোয়ারের প্রতিবেশী আলমগীর হোসেন খান। তিনি দরিদ্রতার কারণে ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মারুফা আক্তারকে গৃহকর্মী হিসেবে কনস্টেবল আনোয়ারের বাসায় পাঠান। ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি মেয়ের খবর নিতে আনোয়ারের বাসায় যান তার মা ছালমা বেগম। কিন্তু সেখানে গিয়ে মারুফাকে না পেয়ে কোথায় আছে জানতে চান তার মা।
তখন মারুফার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আনোয়ার জানান, "সময় মতো মেয়েকে পেয়ে যাবে।”
তুহিন আরও বলেন, “কিন্তু মেয়েকে না পেয়ে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি আনোয়ার, তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইকে আসামি করে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি।
আদালতের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই হাসান আবিদুর রেজা আনোয়ার ও তার স্ত্রী জেসমিন বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।”
বেঞ্চ সহকারী বলেন, আনোয়ারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ইএইচ