ময়মনসিংহে রডভর্তি ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
ময়মনসিংহে রডভর্তি ট্রাকসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে। একইসাথে ডাকাতির মালামাল রড ক্রয়কারী ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ।

গত দুই দিন টানা অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোণা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) শামীম আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি বিকালে রাজীব পরিবহনের একটি ট্রাকের ড্রাইভার জুয়েল মিয়া ও হেলপার আলম মিয়াসহ চট্টগ্রামের মীরেশ্বরাই বারুইহাট বাজার থেকে ১৫ টন রড বোঝাই করে শেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। ট্রাকটি পরদিন ভোরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল ১০নং মঠবাড়ী ইউনিয়নের রায়মনি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পৌঁছানোর পর একটি খালি ট্রাক দিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থামাতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে খালি ট্রাক থেকে ৫ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত ধারালো দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকের কাছে এসে ড্রাইভার জুয়েলকে গুরুতর জখম করে এবং হেলপার আলম মিয়াকে ট্রাক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রডভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির ঘটনা বিষয়ে ত্রিশাল থানা অবগত হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ট্রাকচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাৎক্ষণিক পার্শ্ববর্তী থানাসমূহে বেতার বার্তা প্রদান এবং টহলে নিয়োজিত পেট্রোলসমূহকে ডাকাতির বিষয়ে অবগত করে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

ব্যাপক পুলিশি তৎপরতায় ভালুকা-গফরগাঁও রাস্তার ধীতপুর বাওয়ারগ্রাম নামক স্থানে লুণ্ঠিত ট্রাক এবং ট্রাকে থাকা ১৩ টন ৪১৫ কেজি রড রেখে প্রায় দেড় টন রড নিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রাজীব পরিবহনের ম্যানেজার লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেন।

শামীম আহমেদ আরও জানান, মামলার পর ত্রিশাল থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করেন। ডিবির ওসি আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গত ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোণায় টানা অভিযান পরিচালনা করে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. শরীফ হোসেন, মো. নাঈম আহম্মেদ, মো. ইয়াসিন, মো. রাজন, মো. হাসান ও মো. মামুন মিয়া।

পরে ডাকাতদের তথ্যমতে, ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ এবং ডাকাতির পণ্য (রড) ক্রয়কারী দোকানদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীর নাম ইদ্রিস আলী। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির মালামাল জেনেও রড ক্রয় করেছেন বলে ঐ ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন।

ব্রিফিংকালে ডিবির ওসি আবুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইএইচ