যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মরিয়ম মুনমুনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন সদস্যের এই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে তদন্ত কমিটি গঠন ও প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিককে প্রধান করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দিলরুবা ফেরদৌস ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. দিদার এ ইলাহীকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত ডা. মরিয়ম মুনমুনের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। প্রতিবেদন দাখিলের পর ওই চিকিৎসক দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি গ্রামের ইমরান মল্লিকের স্ত্রী বৃষ্টি বেগম, চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের রূপা খাতুন, নওয়াপাড়া পৌরসভার গাজীপুর গ্রামের রাফেজা বেগম, নওয়াপাড়া গ্রামের সুমি খাতুন ও ধোপাদী গ্রামের অলিভিয়া খাতুন চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তারা টিকিট কেটে ডা. মরিয়ম মুনমুনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় ডাক্তারের সহকারী একটি নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলেন। কিন্তু তারা অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে এলে ডা. মরিয়ম মুনমুন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট ছাড়া আমি রোগী দেখি না। আপনারা অন্য ডাক্তার দেখান।’
এ সময় রোগীরা বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা তাই করেন, আমি রোগী এবং রিপোর্ট কিছুই দেখবো না। প্রয়োজনে আমার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন। তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।’ এই কথা বলে তিনি অফিস থেকে সকলকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
ইএইচ