অভয়নগরে রোজার আগের দিনই কলার দাম বেড়ে ‘দ্বিগুণ’

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
অভয়নগরে রোজার আগের দিনই কলার দাম বেড়ে ‘দ্বিগুণ’

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় রমজানের আগের দিনই কলার দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিবছর রমজান এলে কলার বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু সরবরাহে ঘাটতি যদি নাও থাকে তবু প্রতিবছরই এর দাম বেড়ে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মানবদেহের জন্য পুষ্টিকর কলা।

দামে সস্তা বলে হাতের নাগালে পাওয়া এ কলা সবারই প্রিয়। অথচ শনিবার (১ মার্চ) সকাল থেকে এক লাফেই কলার দাম হালি মাঝামাঝি আকৃতির প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। এ প্রতিটি কলা ৮ থেকে ১০ টাকা হিসেবে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের মোড়ে বেশি দামে কলা বিক্রি হচ্ছে।

রমজানের আগের দিনেই এতো বেশি দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। চড়া দামের জন্য দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে গেছে কলা।
রমজানের প্রথম দিনের ইফতারের জন্য অনেকে আজ আগাম কলা কিনতে ভিড় জমান বাজারে। তাদের কাছে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম নেন।

রমজান উপলক্ষ্যে উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে অনেক বেশি ব্যবসায়ীকে কলা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে ভেতরে থাকা আড়ত এবং খুচরা দোকানগুলোতেও কলা বিক্রি হয়েছে। 
উপজেলার একতারপুর গ্রামের কলা বিক্রেতা বক্তিয়ার রহমান শেখ বলেন, "কিনতে হয় দাম দিয়ে, তাই বিক্রি করার সময় হাতে কিছু লাভ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে। আসলে এখন কলা উৎপাদনে কৃষকদের আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বলেই দাম বেশি।"

উপজেলার গ্রামতলা বাজারে কলা কিনতে আসা আল আমিন তরফদার নামে একজন ক্রেতা জানান, "সেহেরি ও ইফতারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে কলা খুবই জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু কলা কিনতে এসে দেখি দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০ টাকা হালি কলার দ্বিগুণ দাম গুনতে হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।"

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমরা সব সময় বাজার মনিটরিং করছি। রমজানে ব্যবসায়ীরা কোনো পণ্য অতিরিক্ত দামে যেন বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসন কাজ করছে।

বিআরইউ