ফরিদপুরের সালথায় এবার রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকেরা তাদের ক্ষেতের পরিচর্যার শেষ পর্যায়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে স্বপ্নের ফসল ঘরে তোলার প্রক্রিয়া। পাশাপাশি, সংরক্ষণের জন্য বাঁশ দিয়ে বানা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্থানীয় কারিগররা।
উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আবু মোল্লা, ওবায়দুর রহমান, ফরিদ মোল্লা ও পলাশ মণ্ডল জানান, গত বছর ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এবার পেঁয়াজের আবাদ বেড়েছে। ইতোমধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। ক্ষেতের গঠন ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে বর্তমান বাজারদর নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তাদের। চাষিরা জানান, উৎপাদন খরচের তুলনায় ন্যায্যমূল্য না পেলে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন। প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম অন্তত দুই হাজার টাকা না হলে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়, বিশেষ করে বর্গাচাষিদের জন্য এটি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তারা বাজারে ন্যায্যমূল্যের নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস জানান, এবছর সালথায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। মোট ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার ফলন ভালো হবে এবং উৎপাদন দুই লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সঠিক বাজারদর নিশ্চিত হলে কৃষকেরা লাভবান হবেন এবং দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইএইচ