নরসিংদীতে শ্রমিক এরশাদ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
নরসিংদীতে শ্রমিক এরশাদ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন

নরসিংদীর নাগরিয়াকান্দি বালুর মাঠে পাওয়ালুম শ্রমিক এরশাদ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে পিবিআই নরসিংদী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার লক্ষণখোলা গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদ (২১) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইকান্দি গ্রামের মো. রহমানের ছেলে বিল্লাল মিয়া (রনি)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১টি বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, নিহত এরশাদ মিয়া পেশায় পাওয়ালুম শ্রমিক ছিলেন এবং সদর উপজেলার মাধবদী থানার শান্তি ভাওলা গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইসাইকেলে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু পরদিন সকালে তার লাশ নাগরিয়াকান্দি বালুর মাঠে পাওয়া যায়।

পিবিআই নরসিংদী আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরহাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে রনি গ্রেফতার করেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে নিহত এরশাদের ব্যবহৃত লুন্ঠিত বাইসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আসামীরা এরশাদের পুরনো সহকর্মী ছিল এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে একসাথে পাওয়ালুম শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল। একদিন তারা এরশাদকে নারীর লোভ দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে তার মোবাইল ফোন থেকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে টাকা তুলে নেয়। এতে বাধা দিলে, রনি চাকু দিয়ে এরশাদের গলা ও শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর তারা তার বাইসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বিকাশের মাধ্যমে ৬৫০০ টাকা উত্তোলন করে।

পরে আসামীদের পুলিশ প্রহরায় আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে নরসিংদী পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি বালুর মাঠে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

ইএইচ