বগুড়ার নন্দীগ্রামে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শহর ও গ্রামীণ বাজারের দোকানগুলোতে নিয়মিত তদারকি করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ নানা অপরাধে দোকানিরা গুনছেন জরিমানা।
বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার গ্রামীণ বাজারে মনিটরিং করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোহান সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই বগুড়ার পরিদর্শক সাকাওয়াত হোসেন।
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে চাল, তেল, মসলা, আলু, পেঁয়াজ, তরমুজ, ফল, সেমাই ও ইফতার সামগ্রীর দোকানে নজরদারি করছে প্রশাসন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, উপজেলার পন্ডিতপুকুর ও সিংজানি এলাকার বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় পন্ডিতপুকুর বাজারের মুদি দোকানির ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দন্ডিত উৎপল চন্দ্র রায় ভাটরা ইউনিয়নের ছোট কঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই প্রস্তুত করছিলেন কুন্দারহাট সিংজানি এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক। তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট আইনে অসাধু ব্যবসায়ীর ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এছাড়া পণ্যের মোড়কে বিক্রয় মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় মুদি দোকানিকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইনে দন্ডিত জাকির হোসেন রুস্তমপুর এলাকার বাসিন্দা।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
