ফাগুনের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘ভাটি ফুল`

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
ফাগুনের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘ভাটি ফুল`

বসন্ত কালে মাঠেঘাটে, সড়কের ধারে অনাদরে আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা যে ফুলগুলো সহজেই মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তার মধ্যে একটি হলো বনজুঁই বা ভাট ফুল। তবে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এটি ‘ভাটি ফুল’ নামেই বেশি পরিচিত।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঝোপ-ঝাড়ে, রাস্তার পাশে, এখানে-সেখানে নিজের সুন্দর রূপ সুবাস ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করছে ভাটি ফুল।

জানা যায়, বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ ফুল ফোঁটে। এ ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ফুটতে দেখা যায়। ভাটি গাছের প্রধান কাণ্ড সোজাভাবে দণ্ডায়মান। সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় এ ফুলের গাছ। ডালের শীর্ষে পুষ্পদন্ডে ফুল ফোঁটে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোটে। এ ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এ ফুল। ফুল ফোঁটার পর মৌমাছিরা ভাটি ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে। পরিত্যক্ত জমিতে আগের মতো ভাটি ফুল ফোটে না।

ভাটি ফুল একটি ওষুধি উদ্ভিদ। এর পাতা কবিরাজরা অ্যাজমা, টিউমার, সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করেন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা জ্বর, চর্মরোগ ও বিছার হুল ফোটানোতে এর পাতা, ফল, ফুল ও মূল ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করেন।

উপজেলার একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল সালাম বলেন, "ভাটি ফুল সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের মনের খোরাক জোগায়। রাস্তার পাশে, পরিত্যক্ত জমিতে অনাদর অবহেলায় বেড়ে ওঠা ভাট গাছের ফুল বসন্তে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যোগ করে বাড়তি মাত্রা। পথচারীরা উপভোগ করেন আবহমান বাংলার আদি বুনো ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য।"

উপজেলার পল্লী মঙ্গল আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ খায়রুল বাসার  বলেন, "একসময় গ্রামগঞ্জে এ ফুল দেখতে পাওয়া যেতো। এখন আর আগের মতো ভাটি ফুল চোখে পড়ে না। অযত্নে আর অবহেলায় প্রাকৃতিকভাবে ভাটি ফুল বেড়ে উঠলেও সৌন্দর্যে কোনো কমতি নেই।"

আরএস