নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় ভর্তি করায় আমের মুকুলে দেওয়া কীটনাশক (বিষ) পান করে ১০ বছর বয়সী শিমু নামের এক শিশু শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকাল ৫ টার দিকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে এদিন বেলা ৩ টার দিকে সে নিজ বাড়িতে থাকা ওই কীটনাশক (বিষ) পান করে। শিশু শিমু উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের ডুমরাই এলাকার কৃষক বাবলুর মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিমু ডুমরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর তাকে এ বছর দয়ারামপুর রিয়াজুল জান্নাত হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু সে মাদ্রাসায় পড়তে রাজিনা। এনিয়ে ঘটনার দিন দুপুরে তাকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য কিছুটা চাপ দেয় পরিবারের লোকজন। তাতেও সে মাদ্রাসায় যেতে রাজি হয় না। এরই একপর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শিমুকে আশ্বাস দেওয়া হয়, মাদ্রাসায় যাওয়ার পরেই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। তাকে এই আশ্বাস দিয়ে কৃষি জমিতে কাজে যায় পরিবারের লোকজন। কাজ শেষে তারা বেলা ৩টার দিকে বাড়ি ফিরে এসে শিমুকে অস্বাভাবিক মনে হলে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বিষপানের কথা তাদেরকে বললে তারা সাথে সাথেই তাকে বমি করানো হয়। পরে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখানেই ভর্তি রাখেন কর্তব্যরত ডাক্তার। পরে এদিন বিকেল ৫টার দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু শিমুর মৃত্যু হয়।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে মাদ্রাসায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে শিশুটি বিষপান করেছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরএস