ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মোড়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত জেলা যুবদল সভাপতি রাজিব হোসেনের পক্ষ থেকে টাঙানো ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছেন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মানি লন্ডারিং মামলার আসামি ফোয়াদ হোসেনের ব্যবসায়ীক পার্টনার ওমর খান (৫৩)।
এই ঘটনাটি শনিবার (৮ মার্চ) সকালে ঘটে এবং এ বিষয়ে রাজিব হোসেন কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ঝন্টুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ মার্চ শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত শ্রদ্ধাঞ্জলির ফেস্টুন টাঙানো হয়েছিল। পরে সেই ফেস্টুনটি পাশের একটি বহুতল ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে পাওয়া যায়।
রাজিব হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, ওই ভবনের মালিক ওমর খান তার ফেস্টুনটি ছিড়ে ফেলেছেন। গত বছরও একই ধরনের একটি ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছিলো তিনি। রাজিব হোসেন আরও বলেন, "ওমর খান ফোনে বলেছে, তার ভবনের সামনে সরকারি রাস্তার ওপর থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি তার ব্যক্তিগত টাকায় কেনা। এছাড়া যাদের ছবি ছিল, তারা তো সবাই মারা গেছেন।"
এ সময়, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজও করা হয় এবং রাজিবকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
রাজিব বলেন, "এই ফেস্টুনগুলো অনেক আগেই টানানো হয়েছিল। এতদিন পর কেন এগুলো ছিড়ে ফেলা হলো? এটা মূলত পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ এখনও সক্রিয় আছে, সেটা জানাতে চায়।"
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা বলেন, "ওমর খান যুবলীগের সাবেক আহ্বায়কের ব্যবসায়ীক পার্টনার। তিনি যা করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই যেন তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমি এমন কোনো ফেস্টুন বা পোস্টার ছেঁড়ার সাথে জড়িত নই। আমার কোনো লোককেও আমি এ কাজ করতে বলিনি। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো দলীয় রাজনীতি করি না।"
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, "লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"
ইএইচ