বদলে গেল হৃদরোগে আক্রান্ত শিশু আব্দুল্লাহর জীবন

কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
বদলে গেল হৃদরোগে আক্রান্ত শিশু আব্দুল্লাহর জীবন

বাড়ির উঠোনে যেতেই চোখে পড়ে শিশুটি হাঁটছে, খাবার খাচ্ছে, খেলাধুলা করছে। অথচ এক মাস আগেও তার স্বাভাবিক চলাফেরায় অসুবিধা ছিল। বলছিলাম শিশু আব্দুল্লাহর কথা। বয়স তিন বছর। জন্ম থেকেই তার হার্টে সমস্যা। সম্প্রতি অপারেশন করে তাকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। অপারেশনের সকল খরচ বহন করেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আব্দুল্লাহর বাবা খোকন মিয়া পেশায় দিনমজুর। তার মা মাজেদা খাতুন গৃহিণী। পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে দুই ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে তাদের টানাপোড়েনের সংসার। নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নীলাখালী গ্রামে তাদের বাড়ি।

দিনমজুর খোকন মিয়ার সংসারে নুন আনতে যখন পান্তা ফুরায় তখন তার শিশুপুত্র আব্দুল্লাহকে নিয়ে পড়েন মহা দুর্বিপাকে৷ প্রায়ই অসুস্থ হয়ে শিশু আব্দুল্লাহর সারা শরীর কালো হয়ে যায়। সে চিৎকার করে। ঘুমাতে পারেনা,খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করে না। এ অবস্থায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় আব্দুল্লাহর হার্টে সমস্যা। ডাক্তার জানায় হার্টের অপারেশন করতে হবে। এজন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। দিনমজুর খোকন মিয়া পড়েন মহা দুশ্চিন্তায়। 

হঠাৎ জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুরে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। খোকন মিয়া সেখানে শিশু আব্দুল্লাহকে নিয়ে কায়সার কামালের দ্বারস্থ হয়ে সকল সমস্যার কথা খুলে বলেন। তার অসহায়ত্বের কথা শুনে তিনি শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আব্দুল্লাহকে ভর্তি করা হয় ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। ২২ ফেব্রুয়ারি তার হার্টের সফল অপারেশন হয়। সূচনা হয় শিশু আব্দুল্লাহর নতুন জীবনের।

আব্দুল্লাহর মা মাজেদা খাতুন বলেন,আমার ছেলেকে নিয়ে আমরা দিশেহারা ছিলাম। কীভাবে চিকিৎসা করাবো তার কোন কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না। পরে কায়সার কামাল সাহেব চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। তার নিজের খরচে অপারেশন করা হয়। যাবতীয় চিকিৎসা ও ঔষধ খরচ তিনি বহন করেছেন। 
আমার ছেলে আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ আছে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আবদুল্লাহ এখন সুস্থ, তার মা-বাবা সহ প্রতিবেশী সকলে  খুশী। মানবতার সেবায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বিআরইউ