জামালপুর পৌরশহরের মুন্সিপাড়া রোডের আফরোজা তালুকদার লুবন তার স্বামী এসএম মাহফুজুর রহমান রঞ্জু মৃত্যুবরণ করেন সাত মাস আগে। রেখে যান দুই সন্তান ও স্ত্রী। কিন্তু মৃত রঞ্জুর বড় বোন মাকসুদা আক্তার ও তার ছেলে মুসরিফুর ইসলাম রানা এরা লুবনের পৌনে এক শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখল নেয়ার চেষ্টা চালায় তারা। ওই জায়গাতে ছিল লুবনদের পাকা স্থাপনা। রোবার দুপুরে ভাঙ্গার কাজ শুরু করে মাকসুদার নেতৃত্বদল।
পরে জামালপুর সদর থানায় খবর দিলে থানার এসএই ফারুক হোসেন এসে তা বন্ধ করে দেন।
গুরুতর অভিযোগ জামালপুর পৌরশহরের ফুল বাড়িয়া মুন্সিপাড়া এলাকার মুসরিফুর ইসলাম রানা(৪৩)’র বিরুদ্ধে।
ঘটনায় জামালপুর সদর থানাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়েছে বিধবা আফরোজা তালুকদার লুবন।অভিযোগ সূত্র জানায়, আফরোজা তালুকদার তার স্বামী মাহফুজুর রহমান রঞ্জু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই সন্তান রেখে গত ২০২৪ সালে মারা যান। তিনি মাহফুজুর রহমান রঞ্জু একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পরে আফরোজা তালুকদার লুবন তার স্বামী`র পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাসা বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতে ছিলেন। কিন্তু সেই বাসা বাড়িতে মুসরিফুর ইসলাম রানা তার নেতৃত্বদল নিয়ে এর আগে দোকান, গোডাউন ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে নেতৃত্বদলটি আফরোজা তালুকদার পরিবারকে তার স্বামীর বসত ভিটে থেকে উচ্ছেদের অসৎ উদ্দেশ্যে পানি-গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দেয়া, জোর করে তাদের জায়গা পেঁচে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
বিধবা আফরোজা তালুকদার লুবন আরও বলেন,তার শ্বশুর এসএম ইউসুফ আলী ২০২১৬ সালে মারা যাওয়ার পর থেকেই সম্পত্তি ঘ্রাসের উদ্দেশ্যে এই অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে মুসরিফুর ইসলাম রানা ও তার মা মাকসুদা আক্তার।আফরোজ তালুদার পরিবার লুবন বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে মুসরিফুর ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আফরো তালুকদার লুবন আমার মামী হন।তিনার সঙ্গে আমাদের বিবাদমান ওই জমি রেওয়াজ হয়েছে,কিন্তু দখল না ছাড়ায় এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হেসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাকসুদা নেতৃত্বদলকে বিধবার পাকা স্থাপনা ভাঙ্গা বন্ধে করে দেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো. আতিক অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআরইউ