নরসিংদীর পলাশে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তার বাবা আলম মিয়া (৪৫)। তারা দু`জনই পেশায় রাজমিস্ত্রী।
সোমবার রাত ৮টায় পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে জয়নগর গ্রাম থেকে ডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার জন্য ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশা ঠিক করেন সুমনের চাচা মুকুল মিয়া। এ সময় একই গ্রামের তারেক, আইয়ুব মিয়া, নাজমুল হোসেন ও মোমেন মিয়া ওই অটোরিকশা চালককে বেশি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু অটোরিকশার যাত্রীরা তাকে অন্য দিকে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এর ফলে সুমন মিয়া ও তার চাচা মুকুল মিয়ার সাথে যাত্রীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া শুরু হয়।
এরই জের ধরে রাত ৮টার দিকে তারেক ও তার সহযোগিরা সংঘবদ্ধ হয়ে মুকুল মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে, বাড়ির পাশে আজিজুল মিয়ার মুদি দোকানের সামনে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মিয়া জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইএইচ