চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের আরেক চমকপ্রদ উদ্যােগ

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এবার আরেক চমকপ্রদ উদ্যােগ গ্রহণ করেন।তবে এইবার তা বন্দরের জন্য নয়,নগরবাসীর জন্য।বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকেনা।নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে রক্ষার জন্য তিনি একটি প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন কাজ করে যাচ্ছেন।এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে নগরবাসী।

প্রকল্পের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেও জলাবদ্ধতা হ্রাস পাওয়ার জন্য নতুন চমকপ্রদ উদ্যােগ গ্রহণ করেন বন্দর চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান।

১১ মার্চ সারাদিন চট্টগ্রাম বন্দরের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নগরের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।লিফলেট বিতরণ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ,চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও একমাত্র গণমাধ্যমবান্ধব সচিব ওমর ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও চবক এর স্কাউট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন,জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।তবে নগরবাসীর সচেতনতা ও সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।তাই সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখ করা  যাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬ টি খাল ও নালা ‍দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল, কাপড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে, যা নদীর পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। বর্জ্যের কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর নেভিগেশন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে ড্রেজিং কাজে সরকারের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য খালের মুখে জমা হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা ‍দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গৃহস্থালি বর্জ্য নালা নর্দমায় ফেলায় পানি দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে।

দূষণের ফলে কর্ণফুলী নদীর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং নদীভিত্তিক অর্থনীতি ও জীবিকা নিবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে প্রাচ্যর রানী খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে রক্ষার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

আরএস